সম্পর্কের বৈচিত্র্য হারিয়ে গেলে আগ্রহ কমে যেতে পারে। তবে সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ। এ জায়গা থেকে সরে আসা যাবে না।
গ্রীষ্মের খরতাপে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ, তখন প্রকৃতিতে ফুলের সমাহার মানবমনে যেন শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। ঋতুরাজ বসন্ত শেষে গ্রীষ্মের শুরুতে ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস।
তখন ধূসর চোখের রুমানা উঠতি মডেল। অ্যারোমেটিক সাবানের একটা বিজ্ঞাপনে দেখা যেত তাঁকে। সমুদ্র তীরে আঙুল দিয়ে ‘ভালোবাসা’ লিখছেন তিনি—বিজ্ঞাপনে এমন একটা দৃশ্য আছে। আমি তত দিনে বানান করে পড়তে শিখে গেছি। চোখের সামনে যা পাই, তা-ই পড়ি। স্বভাবতই ওই বিজ্ঞাপন দেখে ‘ভালোবাসা’ শব্দটা পড়ে নিয়েছি। আমার শিশুমনে এতটু
বসন্ত নিয়ে আসলে কোনো কথা নেই। থাকা উচিত নয়। কারণ, এটা বসন্তকাল। এ কালে মানুষের মনে দোলা লাগে। দোলা লাগলেই অনুরণন তৈরি হয় মনে কিংবা দেহে। এ কালেই ‘বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ’ উড়ে উড়ে আসে, বিমোহিত করে অকারণে।
‘আপনার প্রিয় মানুষটির জন্য আমাদের এই ভাসমান দোকান থেকে একটি ফুল কিনবেন। ‘‘পটুয়াখালীবাসী’’ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা দাঁড়িয়ে আছে ফুল বিক্রির জন্য। এ ফুল বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে শতবর্ষের একজন বৃদ্ধ পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’
শাড়ির পাড়ে ছন্দ তুলে মেয়েটি হেঁটে গেল তার সামনে দিয়ে। ‘কিছুতেই কিছু যায় আসে না মুখভঙ্গি’ নিয়ে বড্ড কাজের ভান ধরে মনিটরে মুখ গুঁজে আছে ছেলেটি। কিন্তু মেয়েটির খোঁপায় জড়ানো রজনীগন্ধার গন্ধ নির্ঘাত বুকে বাসা বেঁধে ফেলেছে তার।
এই মহাজাগতিক প্রেমের যুগে ‘গাছের পাতা নড়েচড়ে/ তোমার কথা মনে পড়ে’– জাতীয় ছড়া নিতান্তই প্রাচীনকালের কথা। কিন্তু এটাও তো ঠিক, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ কবিতা দিয়ে যেমন রবীন্দ্রনাথের কবিতা লেখার হাতেখড়ি, তেমনি এই গাছের পাতার নড়াচড়া আর তার কথা মনে পড়ার যে ছড়া, সেটা দিয়েই আমাদের প্রেমের পদ্য শোনা ও লেখার হাতেখড়ি।